হাঁড়িকাঠ
যে কোন শহরেই তুমি একটা চৌরাস্তা পেয়ে যাবে যার একদিকে একটা প্রকাণ্ড শিবমন্দির থাকেই। তার থেকে সাড়ে তিন পা পেছোলেই তুমি সম্পূর্ণ অন্য মোড়ে পৌঁছে যাবে। শহুরে অনুরণনযুক্ত খোলসের মধ্যে কেউ সেখানে রোজ রাতে মৃতদেহ সৎকার করে। আরো দুটো রাস্তায় হাঁটলেও তুমি সেই চওড়া লোমশ আয়নাটাই দেখবে কিন্তু তার সামনে তুমি নিজেকে খুঁজে পাবে না সহজে। খুব মন দিয়ে মাইক্রোস্কোপের তলায় দেখলে সেখানে পুরোনো কোন রক্তচোষা মাছির সঙ্গে আলাপ হবে তোমার। যার শুধু ওই চিত্রস্হিত মৃতদেহটাকে ঝলসে নুন মাখিয়ে খাওয়াটাই বিধান
পাশবালিশ জড়িয়ে শোওয়াটা আমার চোখে মুক্তির ডাকনাম। ওটাকে তুমি নানা রঙে সাজিয়ে গুছিয়ে টিপ পরিয়ে অজুহাত নাম দিয়ে তৈরী করতে পারো। দুটো দিন পরেও দেখবে আমি পাশবালিশ জড়িয়েই ঘুম বলে কোন আঠার সঙ্গে ভাব জমাচ্ছি। যতবার পা আটকে গেঁথে যাবার চেষ্টা করছি ততই যেন একপুকুর জলের আবির্ভাব হয়ে আঠার তাক পাতলা হয়ে আসছে। আমি কেঁপে কেঁপে উঠছি। তুমি যত্তসব বলে উপুড় হয়ে বিছানা বানাচ্ছো আমাকে। ধুঁকছি আমি। ভূমিকম্প হচ্ছে ক্রমাগত। কিন্তু কেউ দরজা খুলে মাঠের দিকে ছুটছেনা প্রাণভয়ে। তুমিই শুধু ঘামে ভেজা কিছু ফুল ছড়াচ্ছো ভূমিকম্প পরবর্তী মৃতদেহে।
ঘেরাটোপের আর্তকথা
যেগুলো আমার তারা নিজস্বই আমার। একান্ত। মেঘ এসে তুমুল কঠিন তাকালেও আমি দেব না। বসন্ত চুমুভেজা ছোঁয়া দিলেও না। যতক্ষণ শেষ না হই পালক আমার মুকুট আমার সিংহাসন তলোয়ার বেড়ি সব আমার। এবং চিবুক তুলে তাকানোটাও শুধুই আমার। তোমাকে বড়জোর অপ্রয়োজনীয় ফুরসতে পাখি হবার স্বপ্নটুকু দিতে পারি।
No comments:
Post a Comment