হলুদ সম্পর্ক
ওদের বারান্দা আর এদের কিচেনের দূরত্ব মাত্র আড়াইফুটের। যে কোন মূহূর্তেই দেখা হচ্ছে দু পরিবারের যে কারোর সাথে। রাত বারোটায় ভাত গরম করছে রায়া, একতা বারান্দায় মোবাইল করছিল। গ্রিল ধরে ঝুঁকে পড়ে, আন্টি আপনার শার্টটা ফাটাফাটি হইছে। কই থে কিনছেন? ঢাকা কলেজের সামনে থে?” রায়া হাসে, নারে। ধানমন্ডি আনাম মলে রিডাকশন সেল হচ্ছিল, সেখান থেকে।” মিনতি বউদি ডাক দেয়, ও ভাবি নলেন গুড়ের ক্ষীর রানছি, একটু দিলাম ছেলেকে নিয়ে টেস্ট কইরেন।” রায়াও দেয় তবে ফলমূল, বই, শো পিস ছাড়া অন্য কিছু নয়।
আজ কদিন ধরেই
বারান্দার দরোজা বন্ধ। কাপড় ঝুলছে তারে। তার মানে আসা যাওয়া হচ্ছে। শুধু রায়ার
সাথে কারো দেখা হচ্ছে না। মিনতি বউদি তিনবেলা পূজো না করে খাবার খায় না। উলুধ্বনি
এবং ঘন্টা বাজার শব্দও বাজছে কিন্তু কি আশ্চর্য কারো দেখা নেই বারান্দায়। হলো
কি? রান্না করতে করতে রায়া ভাবে লাস্ট যেদিন বউদির সাথে কথা হয়েছে তাতে কি খারাপ কোন কথা বলেছে সে? না তো! সেদিন
কি করে মোটা কমানো যায় তাই নিয়েই তো কথা
হল। মিনতি বউদি সাতষট্টি থেকে ঊনষাট হয়েছে ডায়েট করে আর রায়া পঞ্চাশ থেকে পঞ্চান্ন
হয়েছে সারাক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে থেকে। কি হল তাইলে? পত্রিকার লেখাটি
শেষ করেই খোঁজ নিতে হবে কারো অসুখ বিসুখ কিছু হল নাতো!
নিরাপত্তার
খাতিরে ফেসবুক সাময়িক বন্ধ। তীব্র অসন্তোষ তরুণ তরুণীদের মধ্যে। ফোনে কি আর সব কথা
বলা যায়! অনেক রাতে মিনতি বউদির ব্যালকনি থেকে কথা বলার আওয়াজ আসে। রায়া বোঝে একতা
কথা বলছে। এ বয়সের একটি মেয়ে বা ছেলের
একজন প্রেমিক বা কাছের বন্ধু থাকা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু কিছুক্ষন পরেই ব্যালকনিতে চাপা হুলুস্থুল এবং দড়াম
করে দরোজা বন্ধের শব্দ হয়। শব্দটির সাথে
মিনতি বউদির রাগী গলায় “মাইরে ফেলা, মাইরে ফেলা—অরে নিমতলা শ্মশানে পুড়াইয়া আসিগে”এ
জাতীয় কথা শুনে একতার জন্যে খারাপ লাগতে শুরু করে। পান্থপথের মোড়ে সাধারণ চেহারার
একটি শ্যামলাপানা ছেলে একতার জন্যে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করে। দেখেও না দেখার ভান করে
চলে আসে রায়া। ও জানেনা ছেলেটি কি জাতের। নিজে থেকে কখনো জানতেও চায়নি। তারুণ্য
আগ বাড়িয়ে কথা বলা একেবারেই মানতে চায় না। একতার জন্যে ভাবনা হয়। হিন্দু সমাজে জাত পাতের বড় মান্যতা।
মেয়েটি কি অন্য জাতের কারো সাথে জড়িয়ে পড়ল?
বিকল্প পথে
ফেসবুক চালাচ্ছে সবাই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী সাকা মুজাহিদের ফাঁসির সাথে ফেসবুকের সম্পর্ক বোঝা
যায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে পাঠানো কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখে। এরাও বাংলাদেশি নাগরিক। অথচ
মানবতা বিরোধী অপরাধীদের পক্ষ হয়ে অশ্রাব্য হুমকি আর পা তুলে সরকারকে ভারতের পা
চাটা দালাল বলে লাথি দেখাচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের এই নব্য পাকিদের দুঃসাহস দেখে
লজ্জা পেতে হয়। এদিকে সারা পৃথিবী জুড়ে রক্তের হোলি খেলছে আইএস সংগঠন।
ইসলাম শব্দের অর্থ বদলে দিয়েছে এরা। এখন পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রের কোন নাগরিক
মুসলিমদের আর বিশ্বাস করে না। সাধারণ
মুসলিমরা অসহায় হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে
ধর্মের হাতছানিতে অনেক শিক্ষিত অশিক্ষিত ছেলেমেয়ে্রা জড়িয়ে যাচ্ছে উগ্রতায়। অবস্থা
এমন হয়ে পড়েছে যে মুসলিম তরুন ছেলেমেয়েদের মা বাবারা আতংকিত তাদের ছেলে বা মেয়েটি ঠিক পথে আছে তো !
পত্রিকার লেখা শেষ করে কাকডাকা ভোরেই উঠে
পড়ে রায়া । একটু চা খাবে।
কিচেনের আলো জ্বেলেই চমকে উঠে। একতা বারান্দায়, আন্টি একটু নীচে আসবেন ?
দু কাপ চা আর
বাদাম বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে নীচে এসে দেখে পাতলা চাদরে মাথা মুখ ডেকে একতা আগেই
চলে এসেছে । কি করব আন্টি আমি ? রায়ার শংকাই সত্য হয়। ছেলেটি মুসলিম। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। একতা ইডেনের। শাহবাগে পরিচয়। তারপর মিছিলে, স্লোগান দিতে
দিতে ঝালমুড়ি ফুচকা তেলেভাজার সাথে একান্তে চিকেন বিরিয়ানি ভাগ করে খেতে খেতে
প্রেম জমে ঘন হয়েছে। একতা ফুঁসে উঠে, আমি
ওদের বাসায়ও গিয়েছি আন্টি।
ওদের বাসার কেউ কিছু বলেনি
আমাকে। এই যে এই আংটি দিয়েছে নিলমের আম্মু
ছেলের পছন্দকে সন্মান করে। আর এদিকে আমার বাবা মা দাদা আমাকে মেরে ফেলার কথা
ভাবছে!”
রায়া মনে মনে
হাসে। মুসলিম পরিবার তেমন কিছু বলবে না। কারণ তারা জানে মেয়েটি আসবে ধর্মান্তরিত হয়ে। কিন্তু হিন্দু ধর্মে তো গ্রহন
নেই। খুব অল্প হিন্দু পরিবার আছে যেখানে মুসলিম মেয়েকে বউ হিসেবে গ্রহন করে।
রায়ার চেয়ে ভাল আর কে জানে যে মুসলিম মেয়ে বিয়ে করে কোন কোন হিন্দু ছেলে
দেশ ছেড়ে বাবা মা আত্মীয় স্বজন ছেড়ে
বিদেশে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে আর ইসকনের মন্দিরে গিয়ে আত্মার সন্তুষ্টি
পূর্ণ করছে অথবা মুসলিম হয়ে আজীবন বেঁচে
থাকছে । রায়ার নিজের বোনের স্বামিও তো
হিন্দু। কত বছর একঘরে হয়ে থেকেছে
রায়ারা। কত
গঞ্জনা কত অপমান সহ্য করতে হয়েছে ওদের। রায়ার বাবাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিল মসজিদ
কমিটি। আর বোনের শ্বশুর একটু
একটু করে সমস্ত ব্যবসা গুটিয়ে একরাতে পরিবারসহ ইছামতী পেরিয়ে বসিরহাটে বড়দিদির
বাড়িতে বসে প্রায়শ্চিত্ত করেছে ছেলের অপরাধের। পৈতৃক সম্পত্তি থেকে ত্যাজ্য করেছে
ছেলে এবং তার উত্তরাধীকারদের। অথচ দুই পরিবার কত বন্ধু ছিল। প্রতি বছর বিসর্জনের
দিন গাড়ি ভাড়া করে খুলনা থেকে ইছামতির তীরে
চলে আসত তারা । পুরুষরা
ব্যস্ত থাকত বিসর্জনের কাজে মহিলারা স্থানীয় মেলা থেকে কিনে নিত সংসারের নানান দ্রব সামগ্রী। ওপারের চুড়ি,
শাড়ি, জয়পুরী বিছানার চাদর, বাবা জর্দা, টিপ।
মিনতি বউদির
মত রায়ারও বলতে ইচ্ছা করে একতা কি মিছিলে
শ্লোগানে কোন স্বধর্মের স্বজাতের ছেলে খুঁজে পেলো না ! শুকনো খটখটে লাবণ্যহীন ব্রণেভরা মুখটি চোখের জলে ভিজে আছে। মাটি মায়ের কোলে গজিয়ে উঠা
একটি নতুন পবিত্র সম্পর্ককে প্রতিষ্ঠা
করতে জাতপাত ধর্মকে অস্বীকার করে সাহসের ঘোলা জলে কাদামেখে জোর কদমে মুখ উঁচু করে
দাঁড়িয়ে থাকতে চাইছে ভালবাসার চারাগাছটি। “ আন্টি সব মুসলিম তো আইএস নয়। নিলমের বাবা বাম রাজনীতি
করে। উনি কি কখনো আইএসের সমর্থক বা ধর্মান্ধ হতে পারে ?” একতার কথায় এবার চরম ধাক্কা খায় রায়া। তাই তো এভাবে ত ভেবে
দেখেনি। ক্রমশ পৃথিবী ধর্মের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। ধর্মের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে একেকটি
পরাশক্তিসহ ছোট ছোট দেশগুলি। এই মূহূর্তে উগ্রতায় আইএসের তুলনা কেবল আইএস। প্রতিটি মুসলিম আইএস করে না সত্যি কিন্তু
প্রতিজন আইএস তো মুসলিম ! মিনতি বউদির দুঃশ্চিন্তা এবার ছুঁয়ে যায়
রায়াকে। ইসরাইলের হাতে নির্যাতিত একজন
প্যালেস্টাইন, আইএসের হাতে হাতে নির্যাতিত কোন ইয়াজিদি মুসলিম, বাংলাদেশ থেকে উৎপাটিত
হিন্দুরা আর মোজাফফরপুর, গুজরাট, দাদরির মুসলিমরা কখনো কি বিশ্বাসের জমিন খুঁজে পাবে এই
পৃথিবীতে ?
ঘরে যাও একতা। যা করবে তা ভাল
করে ভেবে করো।” অনেকটা পালিয়ে আসে রায়া। সে আপোষের দুধ ভাতে মানুষ ।
কোথায় পাবে হিন্দু মুসলিম জাত পাত ঘোচানোর দুঃসাহস! কলকাতা ঘুরতে গিয়ে কফি হাউসের
সিঁড়িতে নির্মলকাকুর সাথে দেখা হয়েছিল।
রায়াদের ছোট শহরের হিরো। নির্মলকাকু আর স্থানীয় কচিকাঁচা ইশকুলের টিচার আরজু আপার
প্রেমের বিয়েতে তাদের শহরে প্রায় দাংগা সৃষ্টি
করেছিল। আরজু আপার ভাইরা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি এই বিয়ে। হাতাহাতি থেকে
মারামারি হয়ে শেষ পর্যন্ত খুনোখুনি হয়ে যায় । আরজু আপার বড় ভাই যখন বন্দুক বের করে আরজু
আপাকে খুন করতে এলেন নির্মলকাকু আর সহ্য করতে পারেননি। আরজু আপাদের উঠোনে নেড়ে দেওয়া চ্যালাকাঠের বাড়ি মেরে
মাথা দু ভাগ করে দিয়েছিল বড়ভাইয়ের। আরজু
আপার বাবা ঘটনা বেশিদূর ছড়ানোর আগেই নির্মলকাকুকে সরিয়ে দেয়। “পালা নির্মল, কোনদিন
আসবি না আর। পালিয়ে যা।” আরজু আপাও পায়ে পড়ে
নির্মলকাকুর। এত ভালবাসত যে আরজু আপাকে শেষ পর্যন্ত তাকে ছেড়ে পালিয়ে আসতে হয়েছিল
নির্মলকাকুকে। প্রতিটি
চেকপোস্টে ইনফর্মেশন দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের কাছে খবর ছিল মুরগীর গাড়িতে করে পালিয়েছে নির্মল
সেন। সে গাড়ির লক্ষ্য বেনাপোল । কিন্তু তার আগেই
গাড়ি পালটে পালটে সাতক্ষীরা পেরিয়ে জেলে
নৌকার বইঠা ধরে জলের নিচে লুকিয়ে ইছামতি সাঁতরে ভারত সীমান্তে পৌঁছে গেছিল কাকু।
ভারতীয় জেলেদের হাতুয়া হিসেবে কাজ করে সাতদিন পর বিরাটির এক গ্রামে দূর সম্পর্কের
আত্মীয়বাড়ি উঠেছিল। তারপর কি করে যেন রাজনীতির রঙ মেখে মেখে নির্মলকাকু এখন
সেখানকার এক পরিচিত মুখ।
নির্মলকাকুই
ছুটে এসেছিল, কোথায় উঠেছিস মা ? চল—কফিহাউসের ভেতরে উপরে একটি টেবিলও ফাঁকা ছিল না
সেদিন। বসন্ত কেবিনে চা খাওয়াতে খাওয়াতে খুঁটে খুঁটে জেনে নিচ্ছিল খুলনার সবকিছু । রায়া অপেক্ষা করছিল কাকু কখন আরজু
আপার কথা জানতে চাইবে। কিন্তু একবারের
জন্যেও কাকু আরজু আপার কথা জানতে চায়নি। রায়া ভাবে কাকু হয়ত জানে আরজু আপা কেমন
আছে। আজ পর্যন্ত আর বিয়ে করেনি আরজু আপা। কিন্তু কাকু কি জানে স্বাগতের কথা ?
কাকুর ছেলে । যে কিনা দেখতে অবিকল কাকুর ছায়া। কাকুর মতই টেনিস চ্যাম্পিয়ন।
স্বাগতের পিতার নামের জায়গায় লেখা আছে আরজু আপার দাদুর নাম। ধর্মের জায়গায় ইসলাম । সব জানে
স্বাগত। পারিবারিক ঝগড়ায় মালাউনের বাচ্চা বলে মাঝে মাঝে আঘাত দিয়ে কথা বলে কোন কোন স্বজন। চোখে রক্ত তুলে মারতে
ছোটে স্বাগত। বড়রা কেউ কেউ আঁতকে উঠে, ওরে এ যে নির্মলের
ডুপ্লিকেট। সেই রকম রগ চটা মাথা গরম। এদেশে থাকা
নির্মল কাকুর এক জ্যাঠা স্বাগতকে দেখলেই গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে কেঁদে উঠেন।
স্বাগত পারত পক্ষে তার সামনেই যায় না।
এখানে বিয়ে
করেছে নির্মলকাকু। বউ কমরেড । রায়া চলে আসার আগে এক ভোরে নির্মলকাকু আর সেই কাকিমা
এসেছিল দুই ছেলেকে নিয়ে দেখা করতে। কিছু উপহার দিয়ে কাকিমা বলেছিল, দিদিকে দিও। আর
স্বাগতকে বল কখনো দরকার পড়লে বা মন চাইলে সে যেন চলে আসে। তার অধিকার এই মা আর
ভাইরা রক্ষা করে আছে।” আরজু আপা উপহারগুলো লুকিয়ে ফেলেছিল। বাবার দেওয়া একটুকরো
জমিতে পাকা ঘর তুলে থাকে প্রাইমারী ইশকুলের শিক্ষিকা আরজু আক্তার। মাঝে মাঝেই
ভাইরা হুমকি দেয় জমি ঘর কেড়ে নেওয়ার। আরজু আপা তখন নিজের ঘরে দরোজা বন্ধ করে কাঁদে
। কেউ আসেনা সান্ত্বনা দিতে। সবার মুখে বিদ্রুপ খেলে যায় হায়েনার মত। ভাইয়ের বউরা তো সরাসরি বলেই দেয়, কেমন লাগে হিন্দু বিয়ে করার! মজা টের পাও
এখন।”
দুঃশ্চিন্তায়
অস্থির হয়ে উঠে রায়া। একতাদের বারান্দার
দরোজা বন্ধ থাকে আজকাল। কদিন ধরে কাপড় শুকানো,
উলুধ্বনি আর ঘন্টা বাজার শব্দও শুনতে পাচ্ছে না। কিচেনে রান্নার ফাঁকে
ফাঁকে দেখে নেয় একেক বার। নাহ দরোজা বন্ধ। বিকেলের চা নাস্তা বানাচ্ছে রায়া হঠাত
বারান্দা খুলে মিনতি বউদি একমুখ হাসি দিয়ে মিষ্টির প্লেট বাড়িয়ে দেয়, ভাবি একতার
বিয়ে হয়ে গেল। হঠাত করেই হল। আপনাদের
কাউকে জানাতে পারিনি। সাতক্ষীরার ছেলে। তবে ওপার থাকে। একবারে পার করে দিয়ে এলাম।”
বাড়ানো মিষ্টির প্লেটের দিকে হাত বাড়িয়ে রায়া
ভাল করে দেখে নেয় মিনতি বউদির মুখ। স্বস্তি আর নিষ্ঠুরতার আনন্দ মাখানো।
মিস্টির
প্লেট পড়ে থাকে টেবিলে। ষ্টিলের জগে রায়ার মুখ ভেসে উঠে। মিনতি বউদির মতই তাতে স্বস্তির রঙ মাখানো । শুধু মাঝে মাঝে
বেদনা এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে । সেও তো চায়নি একতার জয় হোক! আর তখনই সেই বন্ধুটির কথা
মনে পড়ে যায়। ইছামতির জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে গেরুয়া জলের দিকে তাকিয়ে যে নিজেই যেন
নিজেকে শুনিয়ে বলেছিল, আমাদের মনও এক ইচ্ছামতি মেয়ে জান তো। তাতে বাঁধ দিলে আত্মার
মৃত্যু ছাড়া আর কি পরিণতি হতে পারে বল তুমি?
No comments:
Post a Comment