সকাল
বন্দনা
ক.
তবুও তো আচানক কোথাও ভালোলাগা স্পর্শ করে বোধে। মনে হয় এই তো
বেশ থাকা যায়,খানিক পরিপাটি,
খানিক গোছানো সভ্যতার দেরাজে। টুপটুপ গান হতে হতে বৃষ্টি্ না হয়
হলোই... সে তো দ্বৈত প্রাপ্তি। গান আর বৃষ্টি।
খ.
বুনো পেয়ারার গাছে যখন সবুজ টিয়া এসে লাল ঠোঁটের বন্দনা করে...কী
আচানক গাছের শাখা কেঁপে ওঠে। আশ্চর্য সুন্দর হয়ে ওঠে বনরাজি। ও পেয়ারার ঝাঁকে
আমাদের সবুজ টিয়ের হৈ হৈ ...
গ.
পাশের নদীতে যে মাছ এলো সাঁতার দেয় খলবল... শহরের থকথক হর্ণে
পালিয়ে যায় চায়ের কাপ,সন্ধ্যার
এলো চুল। নিয়ন বাতি শাসন করে যুবক যুবতীর পকেট। দূরে ওই দূরে ধ্বনির সাথে
প্রতিধ্বনি। কী মঙ্গল কী চোখের নিষ্পাপ আকুতি! ও বনরাজি,বাঁচাও
মানুষের চিবুককে।
ঘ.
নৌকার কালো পিঠে বসে থাকে নদী প্রণয়ী মিশুক ডাহুক। তারে দেখা
যায় গোপনে,যে বাঁধে জলের
কামজ ঢেউয়ে। ও সুর ঢেউ নেবে, নাও। রোদের শালিক রাগ করে
উড়ে যায় পাশের গ্রাম,ঠুকরে দেয় বাঁশপাতা। সেই কবিতা,পোড়া বনভোজন,সেই শিহরণ...ওলো কবিতা...
সবিনয়
নিবেদন
আমি আসলেই কি তোমাকে দেখেছি কখনো কোথাও? তুমি কী সুন্দর
চন্দ্রমুখী!
এই তুমি কি বালুচর টলটল প্রবাহ জল,দুই তীর দিয়ে বাঁধানো
অপরাহ্ণ নদী?
দেখেছো ছোট বাবুটার মতো হামাগুড়ি দিয়ে আবার চৌদ্দ তারিখ।
পিচ ঢালা পথ গড়িয়ে গড়িয়ে অলম্বুস সময়। আমাদের অমল তুমুল ইকুলু বিকুলু
ক্ষণ,অরুন্ধতী প্রহর।
আমরা দুজন
কতোদিন স্বর্গ খেলনা বলো তো? ১বছর? ২বছর? ১০বছর? ১০০বছর মাত্র? ব্যাংকের চেকে যেমন
করে লেখে নব্বই কোটি টাকা মাত্র।
এই,গত বছর ১৪ তে আমরা কি করেছি?
কেবল একটা
দানবীয় সময় ঈগল পাখির মতো চোখের পাশে সময় ঘরানার গান শুনিয়ে যাচ্ছে। এই তোমার
পাসপোর্টটা দেখতে ইচ্ছা করে। তোমার কেমন বাধুক এটেনশন ছবি। চোখের পাতাটা পড়ছে
না,এক চিলতে জল হাওয়া পবনের মতো কুশল কমলা ঠোঁট।
আমার
চতুর্দিকে সকাল বিকেল সন্ধ্যা রাত যাচ্ছে সাঁওতাল তীরন্দাজের মতো ধনুক নিয়ে। তুমি
খালি পায়ে হাঁটছো,তোমার পায়ে বন-বাঁদাড়ের কাঁটা ফুটছে না। সবুজ পাতাগুলো পায়ের রাজধানীতে
অপুলু পাপুলু মিপুলু করছে। তুমি হাসছো হাসছো।
এই আমি কী নবীন অর্জুন?
সালভাদর
দালীর ছবির মতো সময়। ভেতরে ভেতরে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর হরিণ স্লো মোশনে দৌঁড়ে
যায় তোমার মনোভূমি বনভূমি’র
দিকে। আমাকে দেখতে দাও সেই জ্যোৎস্নার মতো টুটলী পুটলী নুটলীর মতো সেই তুমি হরিণ!
আমাদের শহরে হেনরিটা সিনোরিটা আরিয়ানা সুজানা রাত নামছে।
চাঁদ আড়ালে আছে ইট্টুস কিপটুস অভিমানে। আমাকে দেখাচ্ছে মধ্য রাতে সূর্যের দেশের
মানুষ। আমার সমস্ত আকুলতা এখন তোমার দিকে,শুভ্র নবীনায়। ছায়া রাগিনী সুর ধ্রুপদী
লতায়।
তুমি ও কবিতা আমার দ্বৈত নাম। আমার ৭১ হাজার কবিতা তোমার নাম।
অরণ্য যাচ্ছে নদীর দিকে। অরণ্য,নদীর পাশে। মিলিত সঞ্চয়ী পাশে।
১৪ তুমি ভালো থেকো, ১১ তুমি ভালো থেকো, ২১ তুমিও ২৭ তুমিও। ১০০ তুমিও।
সারাবেলা অহনা রায়না রিন্তনা অঞ্জনা মূর্ছনা তুমি ভালো
থেকো। আমার থেকো।
No comments:
Post a Comment