তোমার নাম
চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছি অনিরুদ্ধ
কয়টা কাগুজে নোট
শুধুযে সময় চিবিয়ে খেয়েছে
তা নয়
নিশ্চিন্ত জীবনের আবাহনে
ডেকে নিয়ে গেছে এমন সব দরবারে
যেখানে মোড়কে ঢাকা সুখের পেয়ালায়
ছলকে ওঠা বৈভব দেখে
ফার্মগেট ওভারব্রিজের মেয়েটিকে
মনে পড়তো
খদ্দের ভেবে সবার দিকে এগিয়ে
কিছু একটা বলে থেমে যেতো
মুখের লটকানো হাসি খুলে পড়তো ঝুপ করে
কটা রঙ লিপস্টিক
সস্তা মেকআপের নিচে বলিরেখার উঁকিঝুঁকি
অহেতুক ভাবনায় ছিবড়ে হতো মগজ
তবু শব্দের জন্ম হতোনা
একটা কবিতা
একটা অর্ধেক কবিতার ধারক হতে পারতাম না
এভাবেও হয়ত বাঁচা যায় যেতোও
আমার ইচ্ছে করলো না
তাই বেকার হলাম আবার
তোমার নামের ভেতর ডুবে
কিছুদিন নিরুদ্দিষ্ট থাকতে চাই।।
বিশ মে অথবা ক্ষুধার্ত উত্তরবঙ্গ
অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে
আমাদের বিশ মে ধুয়ে যাচ্ছে
আমরা উদযাপন ভুলে গেরস্থালী শিখছি
ওষুধ খরচ বেড়ে যাবার আশংকায়
বাড়িয়ে নিচ্ছি পানি পানের অভ্যাস
জীবনকে যাপন করা শেখা হয়ে গেলে
আমরা আমাদের অতীত ফিরিয়ে আনবো
ততোদিন জংশন থেকে
মালবাহী ট্রেনেরা বিনা হুইসেলে ছেড়ে
যাক
লাইন ম্যানের ফ্লাগ ছুঁয়ে দৌড় দিক
জনৈক পাগল
বিস্বাদ চায়ের কাপে উড়ে আসুক
মাছিদের দলনেতা
মোটা চালের ভাতে হামলে পড়ুক
ক্ষুধার্ত নীলফামারী কুড়িগ্রাম সমগ্র
উত্তরবঙ্গ।।
No comments:
Post a Comment