01 January 2016

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য




রাত্রি আমার ভোরের কাছে
ফুটবে না আর মিছে
রাত্রি আমার তারার আলোয়
নিঝুম শুয়ে আছে

একটি বুকের বারান্দাতে
বৃষ্টি এলে পরে
দুইটি চোখের ঘুমগুলি রোজ
অন্যচোখে উড়ে

আমার রাত্রি দীঘল হবে
ফুলের কথা ভেবে
ফুলগুলি সব বকুল হয়ে
বুকপকেটে রবে

একটি হাতের করতলে
রাত্রি হবে চুর
অন্যকারো হাতের আশেই
থমকে আছে ভোর

রাত্রি আমার নদীর সঙ্গে
জেগে থাকবে বলে
আমার যতো আগুন আছে
ভাসে নদীর জলে

সত্যি নাকি জলের কুসুম
আমার সারা গায়
জলের তৃষায় প্রহর আমার
পুড়ে মরে হায়

একটি শয্যা কাঁটার আছে
একটি অন্ধ ঘর
জলের স্বপ্ন চোখে তবু
ঝরে রাতভর

মেঘের ঘ্রাণে ভোর আসে না
একলা জাগি তাই
জলের ঘ্রাণে ঘুম আসে না
কার চোখে ঘুমাই

তাম্ররাত্রি রাত সে আমার
অনেক কালো চুল
সেই চুলেতেই মুখ ডুবিয়ে
খুঁজেছি বকুল

বকুল আমার অন্ধকারে
মুঠোবন্দী আলো
তারই গন্ধে জাগছে কেবল
আমার যতো কালো

আমার নেশা রাতের নেশা
মাতাল চার প্রহর
নিজের সঙ্গে সহবাসে
রাত আনে না ভোর

একটি কষ্ট আনন্দিত
আঁধার জুড়েই ফোটে
আনন্দ এক যন্ত্রণানীল
কাঁপে আমার ঠোঁটে

আমার রাতের জোছনাগুলি
একলা একা জাগে
আকাশটাও ঘুমহারা হয়
মেঘমল্লার রাগে

সেই যে কবে হাঁটছি আমি
দিগন্ত পথ একা
কারো সঙ্গে হয়নি আজো
জলের গন্ধে দেখা

কেউ বুঝেনি একটি রাতের
বিবাগী ভাঙন
কেউ শুনেনি রাতের বুকে
ভাঙে কোন প্লাবন

কখন থেকে তারার মতন
জ্বলছে আমার চোখ
কেউ দেখেনি আমার চোখে
স্বপ্নেরই অসুখ

কেউ বাঁধেনি বুকের জলে
একটি খেয়াঘর
কেউ দেয়নি ঘরের চালে
একটি সবুজ খড়

বকুলবনের প্রলোভনে
স্বপ্ন আমার ফোটে
বনের আঁধার চোখে নিয়েই
অনিন্দ্য রাত কাটে

রাত্রি আমার ভোরের কাছে
ফুটবে না আর ভুলে
স্বপ্নান্ধ চোখ যে আমার
রাত্রিদেবীর চুলে

No comments:

Post a Comment